গোপাল তখন দশম শ্রেণীর ছাত্র। এক অসাধারণ আবিষ্কারে পুরস্কার পেয়েছিল সে। ফেলে দেওয়া কলা পাতা কিংবা কলা গাছের কাণ্ড থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারে ভাগলপুরের গোপাল জি। জ্বালাতে পারে আলো। তাঁর একের পর এক আবিস্কারের গল্প এখন এখনও দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও ছড়িয়ে গিয়েছে। কিন্তু, দেশের জন্য কাজ করতেই বেশি উৎসাহী ১৯ বছরের এই ছাত্র।
বর্তমানে সে শুধু একজন গবেষক হিসেবেই পরিচিত নয়, তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় উৎসাহমূলক বক্তৃতা দেওয়ার জন্যও নিয়ে যাওয়া হয়। তার হাতে দুটি আবিস্কারের পেটেন্টও রয়েছে। স্কুলে থাকতেই তার এইসব আবিষ্কার তাক লাগিএ দিয়েছিল অনেককে। আপাতত বি টেক পড়ছে সে।
ভাগপুরের প্রত্যন্ত এলাকার ছেলে গোপাল। বাবা পেশায় কৃষক। চার ভাইবোনকে নিয়ে সংসার। সরকারি স্কুলেই পড়াশোনা করেছে। কিন্তু তার তুখোড় মস্তিষ্ক থেমে থাকেনি কখনও। মনের আনন্দেই করেছেন সেসব আবিষ্কার।
কিছুদিন আগেই তাইপেই-তে এক এক্সিবিশনে ১০টি দেশের স্টার্ট আপ সংস্থাকে ডাকা হয়। সেখানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন গোপাল। ক্লাস টেনে পড়তেই Inspire Award পায় সে। ২০১৭-তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখোমুখি হন তিনি। ৫-১০ মিনিট কথা হয় দু’জনের। সেখান থেকে তাকে আমেদাবাদের National Innovation Foundation-এ কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। সেখানে ৩-৪ রকমের আবিষ্কারের কাজে হাত লাগান তিনি।
এমনকি আমেরিকা থেকেও বিজ্ঞানীরা এসে দেখা করে গিয়েছেন তার সঙ্গে। ডাক পেয়েছে নাসা থেকেও। কিন্তু তার ইচ্ছা ভারতের মাটিতেই কাজ করে সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার।
আপাতত বিভিন্ন জায়গায় ডাক পড়ছে উৎসাহমূলক বক্তৃতা দেওয়ার জন্য। স্কুল পড়ুয়াদের বিজ্ঞানের আবিষ্কারে উৎসাহ দেওয়ার জন্য বক্তৃতা দিচ্ছে গোপাল। বি টেক পড়ার পাশাপাশি, আবিষ্কারের কাজও জারি আছে। ভবিষ্যতে পিএইচডি করার ইচ্ছে আছে গোপালের।
আপাতত দুবাইয়ের একটি কনফারেন্সের জন্য ডাক পেয়েছে গোপাল। সেই হবে মুখ্য বক্তা। এছাড়াও সিঙ্গাপুরেও আমন্ত্রণ রয়েছে তার।
No comments:
Post a Comment